সিনেমা হলের যাত্রা আগে, না সিনেমা হলের গলির? সিনেমা হল হয়েছে বলেই কি সিনেমা হলের গলি তৈরি হয়েছে? নাকি গলিটি ছিল বলেই সিনেমা হল স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে?
সে চিন্তা কারো করার প্রয়োজন হলে, তিনি করতে পারেন নির্দ্বিধায়।
যাদের ইচ্ছে নেই, তারা ঢুকতে পারেন এই গলিতে। এ দেশের হাজারো গলির মতোই এটি। মূল নাম হয়তো অন্যকিছু ছিল। কিন্তু আমরা চিনি সিনেমা হলের গলি হিসেবে। গলির মোড়ের সিনেমা হলে অনেক গল্পে নির্মিত সিনেমা আসে। কোনোটা এক সপ্তাহ প্রদর্শিত হয়, কোনোটা বা দুই সপ্তাহ। বিশাল পর্দায় প্রদর্শিত সেসব সিনেমার গল্প দেখার আকাক্সক্ষা নিয়ে হাজারো দর্শক আসেন। দেখাশেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলে যান। কিন্তু কারো জানা হয় না নির্মাণের অভাবে এই গলির ভেতরেই তারা ফেলে যাচ্ছেন কিছু গল্প। হয়তো সেসব গল্প আহামরি না। হয়তো সেলুলয়েডের রুপালি পর্দায় ঝকঝক করবে না। কিন্তু সেসব জীবনের গল্প।
জীবনের চেয়ে বর্ণাঢ্য আর কী হতে পারে? জীবনঘনিষ্ঠ গল্পের চেয়ে ঝকঝকে আর কী হতে পারে?
সিনেমা হলের জীবন আর সিনেমা হলের গলির জীবনের মূল পার্থক্য হলো, সিনেমার জীবনের গল্পগুলোতে সম্পাদনা করে পরিমার্জন সম্ভব। সিনেমা হলের গলির জীবনের গল্পগুলো সম্পাদনার বাইরে। পরিমার্জন তো দূরের বিষয়।