সকল বই

শ্রী সুভাষচন্দ্র বসু সমগ্র রচনাবলী ২

শ্রী সুভাষচন্দ্র বসু সমগ্র রচনাবলী ২

Author: সুভাষচন্দ্র বসু
Delivery Time: 25-45 Days , Cash on Delivery Available
  • বই উপহারঃ বই উপহারঃ
    বিস্তারিত
  • বই উপহার.. বই উপহার..
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফারঃ কম্বো অফারঃ
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফার.. কম্বো অফার..
    বিস্তারিত
  • ফ্রি ডেলিভারিঃ ফ্রি ডেলিভারিঃ
    বিস্তারিত
Price: ৳ 875.00
+ Add to Wishlist
Publisher আনন্দ পাবলিশার্স
ISBN9788170666592
Pages242
Reading Level General Reading
Language Bangla
PrintedIndia
Format Hardbound
Category রচনাবলী-রচনাসংকলন
Return Policy

7 Days Happy Return

সুভাষচন্দ্রের ৮৬তম জন্মবার্ষিকীর শুভলগ্নে প্রকাশিত হচ্ছে সমগ্র রচনাবলীর দ্বিতীয় খণ্ড। এ-খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হল, নেতাজীর প্রামাণ্য গ্রন্থ, ‘ভারতের মুক্তি সংগ্রাম’-এর অখণ্ড ও পরিমার্জিত সংস্করণ। এই প্রধান ও অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক রচনা পাঠকের স্বার্থে নতুন করে স্বচ্ছ ও সাবলীল বাংলায় অনুবাদ করানো হয়েছে। অনুবাদ করেছেন সুমন চট্টোপাধ্যায় ও সুগত বসু। নেতাজীর আত্মজীবনী ও প্রথম জীবনের চিঠিপত্র ও রচনার পরই এই গ্রন্থটি সকলের পড়া সমীচীন, এ-কথা মনে রেখে দ্বিতীয় খণ্ডে এই রচনাকে স্থান দেওয়া হল। ‘ভারতের মুক্তি সংগ্রাম’-এর প্রথম অংশ-১৯২০ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতাযুদ্ধের কাহিনী–গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৩৫ সালে, লণ্ডনের এক প্রকাশন-সংস্থা থেকে। ইংলন্ডের নানান পত্র-পত্রিকায় উচ্চ প্রশংসিত এবং ইউরোপের বিদগ্ধ মহলে বিপুল সমাদৃত এই গ্রন্থটির ভারতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেন তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। গ্রন্থের দ্বিতীয় অংশটি—১৯৩৫ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত মুক্তি-সংগ্রামের কাহিনী—দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়, ১৯৪২ সালে, সুভাষচন্দ্র বার্লিনে বসে লিখেছিলেন। যুদ্ধের পর তাঁর সহধর্মিণীর কাছ থেকে সেই পাণ্ডুলিপিটি পাওয়া যায়। লণ্ডন থেকে প্রকাশিত ১৯৩৫ সালের বইটির একটি পুনর্মুদ্রণ কলকাতায় প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে, দ্বিতীয় অংশ আলাদাভাবে পুস্তকাকারে বেরোয় চার বছর বাদে। নেতাজীর সমগ্র রচনাবলীতে ‘ভারতের মুক্তি সংগ্রাম’-এর আদ্যন্ত পরিমার্জিত অখণ্ড সংস্করণের সন্নিবেশ তাই নানা দিক থেকে জরুরী একটি চাহিদাকেই মেটানো। এ-গ্রন্থ সম্পর্কে নানা পত্র-পত্রিকার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মুল্যবান মতামতও সেই সঙ্গে সংকলিত হয়েছে। এ-ছাড়াও দ্বিতীয় খণ্ডের পরিশিষ্টে রয়েছে সুভাষচন্দ্রের একটি সাক্ষাৎকারের বিবরণ। এটিও কৌতুহলোদ্দীপক। মূল গ্রন্থে ফ্যাসিজম্‌ ও কম্যুনিজম সম্বন্ধে তাঁর মন্তব্যের কিছু ব্যাখ্যা এই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবিপ্লবের প্রধান হোতা। তাঁকে বাদ দিয়ে ভারতের ও নবজাগ্রত এশিয়ার ইতিহাস উপলব্ধি করা সম্ভবপর নয়। তাঁর অসামান্য জীবন জাতীয় আন্দোলনের অধ্যায় থেকে অধ্যায়ান্তরে বিস্তৃত। কর্মময় জীবনের বিভিন্ন অংশ পরিব্যাপ্ত দেশ থেকে দেশান্তরে। তিনি শুধ, আদর্শ নেতা বা বাগ্মী ছিলেন না, ছিলেন দার্শনিক, চিন্তানায়ক, শক্তিশালী লেখক। জীবনের বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন অবস্থায়, বিভিন্ন দেশে বসে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাঁর অসংখ্য রচনা ও বাণী এমনভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে যা একত্র করে সমগ্র রচনাবলীর আকারে প্রকাশ করা- সন্দেহ নেই—একটি দুরূহ, গবেষণাসাপেক্ষ ও পরিশ্রমসাধ্য কাজ। সেই কাজেই হাত দিয়েছেন আনন্দ পাবলিশার্স। সুভাষচন্দ্রের সমগ্র রচনাবলী সুসংবদ্ধভাবে খণ্ডে-খণ্ডে প্রকাশের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তাঁরা। এ-কাজে তাঁদের সহায়তা করছেন নেতাজী রিসার্চ ব্যুরো, বিগত কয়েক দশক ধরে নেতাজীর রচনা ও বাণীকে চিরন্তন করে রাখার কাজে যাঁদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাঁদের নিজস্ব সংগ্রহশালায় এমন বহু, দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য দলিল রয়েছে যার স্বত্ব একান্তভাবে তাঁদেরই। আনন্দ পাবলিশার্স-এর সমগ্র রচনাবলীকে সম্পূর্ণাঙ্গ করে তোলার কাজে সেইসব দলিল তাঁরা ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এর ফলে এমন বহু তথ্য, চিঠি, লেখা, ভাষণ, প্রতিলিপি, ছবি ও বিবৃতি এই রচনাবলীর অন্তর্গত করা সম্ভবপর হয়েছে এবং হচ্ছে যা অন্য কোথাও প্রকাশিত হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবার সম্ভাবনা নেই। সমগ্র রচনাবলীর প্রথম খণ্ডটি এর মধ্যেই বিপুল সমাদৃত। সেই খণ্ডে সুপরিকল্পিত চারটি ভাগ। প্রথম ভাগে সুভাষচন্দ্রের অনন্য আত্মচরিত ‘ভারত পথিক’। দ্বিতীয় ভাগে সুভাষচন্দ্রের দুশো আটটি চাঞ্চল্যকর চিঠি। তৃতীয় ভাগে নতুন ভারতবর্ষ গড়ার কাছে আজকের যুবসম্প্রদায়কে প্রেরণা যোগাবার মতো আটটি প্রবন্ধ। চতুর্থ ভাগে সংযোজিত বংশধারা এবং এমন-কিছু, তথ্যভিত্তিক রচনা যেগুলি আত্মজীবনী, পত্রাবলী ও বিবিধ প্রবন্ধ—সংগ্রহের পরিপূরক।

Authors:
সুভাষচন্দ্র বসু

সুভাষচন্দ্র বসু-র জন্ম ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, কটকে। পিতা জানকীনাথ বসু, মা প্রভাবতী দেবী। র‍্যাভেন শ’ কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বি.এ.। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্রে ট্রাইপস্‌। ১৯২০ সালে আই সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দেশসেবায় আত্মনিয়োগের জন্য আই সি এস থেকে পদত্যাগ। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে রাজনৈতিক জীবন শুরু। প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র (১৯৩৯)। অল্পকাল মধ্যেই সর্বভারতীয় নেতারূপে প্রতিষ্ঠালাভ। দক্ষিণপন্থী কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মতপার্থক্য। হরিপুরা ও ত্রিপুরী কংগ্রেসের সভাপতি (১৯৩৮, ১৯৩৯)। বহুবার কারাবরণ। রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক ‘দেশনায়ক’ নামে অভিনন্দিত। ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন (১৯৩৯)। ১৯৪১-এ দেশ ত্যাগ করে প্রথমে ইউরোপ ও পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় ও বিদেশী শক্তির সহযোগিতায় ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন অনন্যসাধারণ কীর্তি। ভারত ভূখণ্ডে INA-র প্রবেশ এবং ভারতের প্রথম স্বাধীন সরকার গঠন। ‘নেতাজি’ আখ্যায় বিশ্বের অন্যতম বিপ্লব নেতা।

0 review for শ্রী সুভাষচন্দ্র বসু সমগ্র রচনাবলী ২

Add a review

Your rating