অনেকদিন হলো, শহরটা বদলে গেছে। নব্বই দশকের তিলোত্তমা ঢাকার কাব্যিকতা আর নেই। আজকের মেগাসিটি ঢাকা, জনসংখ্যার আধিক্য, যানজট আর দূষণ নিয়ে টিকে আছে। এখানে মানুষ আসে জীবিকার প্রয়োজনে। তারপর ছুটতে থাকে যন্ত্রের মতো কিংবা ঠুলি আঁটা পশুর মতো। অথচ, একটা সময় ছিল যখন এই শহরে বসেই কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখত। সোডিয়াম বাতির নিচে হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে পরের দিনটা নিয়ে সোনালি স্বপ্ন বুনত। সেই মানুষেরা বুঝি হারিয়ে গেছে।
কিন্তু স্বপ্ন আসলে মরবার নয়। হতেই পারে শহরের সোডিয়াম বাতি নেই, সেই মায়াবী আলো নেই। কিন্তু ধবধবে সাদা বাতির শহরে পথ চলতে চলতে এখনও অনেকে স্বপ্ন দেখে। কেননা মানুষ স্বপ্নে বাঁচে। স্বপ্ন দেখে তারুণ্য। সে স্বপ্নে গান থাকে, সুর থাকে, থাকে ছন্দ-কবিতা। কখনও সে গান, কবিতা তারুণ্যের বুকে বিদ্রোহের আগুণও জ্বালিয়ে দেয়। গানের সাথে স্লোগান, কবিতা আর সুরে মিলে রাজপথ রঙিন হয়। ঢেউ ওঠে শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি, বসুন্ধরা থেকে বুড়িগঙ্গা।