আনুমানিক তিন হাজার বছর বা তারও কিছু আগে দক্ষিণ এশিয়ার সমাজ ব্যবস্থায় বর্ণপ্রথার উদ্ভব ঘটে। কায়িক শ্রম ও বৃত্তির প্রতি অবজ্ঞার মনোভাব এবং পরবর্তীতে শ্রমজীবী মানুষের সাথে অভিজাতদের সাংস্কৃতিক ব্যবধান বর্ণপ্রথার কারণ হয়ে থাকতে পারে। সমাজের বৃহত্তর অংশ শ্রমজীবী, তাদের সবাইকে একটি নিচু বর্ণে ফেলে দিলে, সবাই মিলে বিদ্রোহ করতে পারে; সে চিন্তা থেকে বর্ণব্যবস্থাকে সাজানো হলো স্তরীভূত শিলার মতো করে। সবার উপরে ব্রাহ্মণ, তার নীচে ক্ষত্রিয়, তার নীচে বৈশ্য, তার নীচে শূদ্র। আমরা এ চতুর্বর্ণ ব্যবস্থার কথা সাধারণত জানি। তবে বাস্তবত এ চতুর্বর্ণের বাইরে বিরাট অংশের মানুষকে রাখা হয়; যাদের বলা হতো ব্রাত্য (ব্রতহীন) বা অন্ত্যজ (অন্তে বাসী) বা পঞ্চমবর্ণ। এদের প্রতি অবজ্ঞার মনোভাব ঘৃণায় পর্যবসিত হয় এবং সমাজে তাদের অস্পৃশ্য করে রাখা হয়। অস্পৃশ্যতা বর্ণবাদের নিকৃষ্টতম রূপ। আর বর্ণগুলো ভেঙে ভেঙে গঠিত হয়েছে শত শত জাতপাত।