যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আসামীর জেল-জীবনের মেয়াদ একসময় শেষ হয়, কিন্তু আগের জীবনে পুনর্বাসন সম্ভবপর হয় কি? হলেও, কতটা হয়? এমনই একজন মানুষের বিচিত্র জীবনকাহিনীতে সেই প্রশ্নটাকেই অসাধারণ দক্ষতায় নেড়েচেড়ে দেখতে চেয়েছেন কুশলী কথাকার মতি নন্দী। এ-উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র রাঘবেন্দ্র। রাঘবেন্দ্রনারায়ণ দত্ত। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে ফেলে এক বিচিত্র পরিস্থিতিতে রাঘবেন্দ্রকে যাবজ্জীবন কারাবাসের দণ্ডাজ্ঞা নিয়ে জেলে যেতে হল। অভিযোগ : বাল্যবন্ধুকে খুন, বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ। জীবনের মহার্ঘ ষোলটা বছর জেলে কাটিয়ে একদিন ছাড়া পেল রাঘবেন্দ্র। এবার বাড়ি ফেরার পালা। অতীতকে ধীরে-ধীরে মুছে ফেলবে সে, একজন নতুন মানুষ হয়ে শুরু করবে জীবন। কিন্তু অতীতকে কি এভাবে রাতারাতি মুছে ফেলা যায়? গেলেও, কতটা যায়? একদিকে ষোলটা বছর জেলে-কাটানো রাঘবেন্দ্র, অন্যদিকে স্ত্রী জাহ্নবী, মেয়ে জনা, ছেলে রণো, এবং খুন-হওয়া বাল্যবন্ধুর স্ত্রী পারুল—প্রত্যেকের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এক নির্মম তবু অতীব জীবন্ত কাহিনী বুনেছেন পরিণত কথাকার মতি নন্দী।