সবশেষে পঞ্চু উধাও। খোঁজ খোঁজ চারদিকে। শেষকালে টেলিফোনে পঞ্চুর কণ্ঠস্বর। সম্পূর্ণ অবাস্তব ব্যাপার। এরই জের টেনে মনাদা নামে একজন গাড়ির চালকের সে কী হেনস্তা! একটা চুরির কিনারা করতে গিয়ে পাণ্ডব গোয়েন্দার অভিযান এই শহরেই। চোর ধরা পড়ল, সন্দেহমুক্ত হল মনাদা। কিন্তু বিপদের পর বিপদ। বিপদ এল এবার অন্য দিক থেকে। এক দুষ্কৃতীচক্রে পঞ্চু সত্যিসত্যিই ধরা পড়ল। সে কী জীবনসংশয় ওর! পাণ্ডব গোয়েন্দা অনুসন্ধানের পর অনুসন্ধান করে তেলকল ঘাটের কাছে ছদ্মবেশে হানা দিয়ে সন্ধান পেল কুখ্যাত সমাজবিরোধী বেনারসীলালের। কথায় বলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ। এখানেও তাই হল। চক্রের আর এক পাণ্ডা এবং দিল্লির এক খুনির অবস্থা কাহিল পাণ্ডবদের হাতে। এই অভিযান শেষ হল ঝাড়সুগড়ার এক পোড়ো বাড়িতে। কিন্তু কীভাবে? শেষ পর্যন্ত পঞ্চুরই বা কী হল? রাধারানী নামে একটি বালিকা সহ আরও কয়েকজনের বন্দিদশা কেমনভাবে শেষ হল তা জানতে গেলে আগাগোড়া পড়তেই হবে এবারের অভিযান।