পাণ্ডব গোয়েন্দার অভিযান মানেই ঠাসবুনোট এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনী। যে-কাহিনীর পাতায় পাতায় শিহরন। এবারের এই অভিযানের শুরুতেই চমক। পাণ্ডব গোয়েন্দা জুটি বাবলুকে উপহার দিল এমন একটা স্কুটার যার নম্বর ট্রিপল সেভেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় একটা ব্যাঙ্ক থেকে লুঠ হয়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকা। বাবলু তার আশ্চর্য স্কুটারে চেপে ডাকাত-দলকে ধাওয়া করে উদ্ধার করে আনল সেই টাকা। কিন্তু আসল বিপত্তি শুরু হল এর পরেই। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের শিশুপুত্র বাবুয়াকে লোপাট করে দিল দুষ্কৃতীরা। পাণ্ডব গোয়েন্দারা কি আর বসে থাকতে পারে? তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল রহস্যের ঘূর্ণি প্রবাহে। ততক্ষণে ঘটনাও বেঁকে গিয়েছে দুরন্ত স্রোতের মতো। বাবুয়ার মতো অপহৃত হল মিষ্টি মেয়ে অলি চৌধুরী, সুদর্শন জয়দীপ। তাদেরই খোঁজে গিয়ে পাণ্ডব গোয়েন্দারা উদ্ধার করেছে জব্বলপুরের রাগিণীকে। পঞ্চুর বিক্রম আর পাণ্ডব গোয়েন্দার দুর্জয় সাহসের সামনে হেরে গেছে আলেকজান্দার মারিয়া নামে এক কুখ্যাত শয়তান। নর্মদা প্রপাত থেকে অপ্সরা প্রপাত, জটাশংকর গুহা থেকে পাণ্ডব কেভ—সবই এই রোমাঞ্চকর কাহিনীর পটভূমি হয়ে উঠেছে। চিত্তরঞ্জনের হিল টপ থেকে যে-অভিযানের শুরু তারই পরিসমাপ্তি ঘটেছে সাতপুরা পর্বতমালার অরণ্যনির্ঝর পরিবেশ, শৈল শহর পাঁচমারিতে। কিন্তু ধূপগড়ের সূর্যাস্তের মুহূর্তে কী হয়েছিল? না, আর বলা যাবে না। এবার, তোমাদের পড়ে নেওয়ার পালা।