করোনাকালে বই লিখতে পারবো কিনা সন্দেহ ছিল। ভেবেছিলাম এবার আর বই লেখা হবে না। থেমে থেমে বইটি শেষ করেছি। বই লিখেছি আর ভেবেছি মাঝ পথে করোনায় মারা গেলে বইটি কখনো আলোর মুখ দেখবে না। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে শেষ করেছি।
যেসব লেখা যোগ করেছি সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা হত্যাকা- এবং ঢাবির ভিপি নূরুল হক নূরকে যৌন কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর ফন্দি। আমি আরো কিছু চলমান বিষয় যোগ করেছি। ২০১৯ সালে আমাদের দেশে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়। সবার মুখে মুখে ছিল তাকে নিয়ে আলোচনা। তাই বইটিতে তার প্রসঙ্গ যোগ করেছি। আরো যোগ করেছি রহস্যসয় হেজবুত তাওহিদের কর্মকা-।
দেওবন্দ ও তাবলীগের কর্মকা- নিয়েও বইটিতে আলোচনা আছে। আমি কারো শত্রু নই। ইসলামী দল ও সংগঠনের তো নয়ই। তবে আমার কাছে উল্লেখিত সংগঠনগুলোর যেসব কার্যকলাপ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে আমি কেবল সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু লেখায় আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছি। ভাবলাম, বয়স তো কম হয়নি। শুধু দেশ বিদেশ নিয়ে লিখলাম। নিজের জীবনের দেখা কিছু তো লিখলাম না। এ বোধ থেকে লিখেছি জীবনে দেখলাম স্কুলে গীতা পাঠ, জীবনে কোথা থেকে কোথায় এলাম, আমাদের সময় পহেলা বৈশাখ, শিবপুর হাইস্কুল : ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সূতিকাগার, আমার যে লেখা পড়ে এরশাদ কেঁদেছিলেন, নজরুল গবেষক শাহাবুদ্দিন আমাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সুযোগ থাকলে আমি আল্লামা ইকবাল হতে চাইতাম, ইরান সফরে গিয়ে শুনলাম নামাজ তিন ওয়াক্ত। বিষয়বস্তু অনুযায়ী বইটির নাম দিয়েছি ‘ধর্ম সমাজ ও রাজনীতি।’ পাঠক মহলে বইটি সমাদৃত হলে আমার শ্রম ও উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করবো।