উপন্যাসের নায়ক সুফী একজন কবি। অন্নসংস্থানের জন্য সে বেছে নিয়েছে সাংবাদিকতা। অন্যজন সংঘমিত্রা- বৈজ্ঞানিক, পার্টিকল ফিজিসিস্ট। পদার্থের একেবারে গোড়ায় যে কণা থাকে সেগুলো নিয়ে গবেষণা করে। তারা দুজনে থাকে দু’দেশে। তাদের ধর্ম আলাদা। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ভিসা দুষ্প্রাপ্য। তাদের দুজনের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটায় রবীন্দ্রনাথের ভাষা, তাঁর গান।
ঈশ্বর কণা বা গড পার্টিকল-এর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে। তখন কাগজে-কলমে। সম্প্রতি এই হিগস বোসনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হলো জেনেভার কাছে সার্নের পরীক্ষাগারে।
প্রায় আট শ বছর আগে জালালউদ্দিন রুমি সুফিবাদের একটা ধারা শুরু করেছিলেন তুর্কির কোনিয়াতে। তাঁকে আবার সম্প্রতি আবিষ্কার করা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে।
ফিজিক্স যেখানে শেষ হয়, সেখানে শুরু হয় মেটাফিজিক্সের। এত দিন একবিশ্ব বা ইউনিভার্সের কথা হতো। এখন অনেকের দৃষ্টি, চিন্তা বিস্তৃত হয়ে মালটিভার্স বা বহুবিশ্বের কিনারায় পৌঁছেছে। এইসব প্রশ্ন একজন কবি আর একজন বিজ্ঞানীকে ভাবিয়ে তোলে। কাছে এনে দেয় দুজনকে। এ আলো-আঁধারির জগতে রুমির মতো মহামানবেরাই হতে পারেন বন্ধু, দার্শনিক ও পথপ্রদর্শক।
প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর কম। যদি সব উত্তর পাওয়াই যেত, তাহলে এই উপন্যাস লেখার দরকার হতো না।