ফোটোর দোকানের ব্যবহার করা কেমিক্যাল ছেঁকেও রুপো মেলে। এ কি নিতান্তই ধাতুচুৰ্ণ, নাকি মানুষের সুখ-দুঃখের স্মৃতিই মিশে থাকে রুপোর কণা হয়ে? সেইসব মানুষ-যারা ছবি তোলাতে আসে? এক আলোকচিত্রীর জীবনের আলাদা-স্বাদ কাহিনী ‘যারা ছবি তোলাতে আসে’। সেই স্কুলজীবন থেকে ছবি তোলার শখ সুশান্তর। একটা স্টুডিও খোলার স্বপ্ন। বাবার একটা বক্স-ক্যামেরা পড়ে ছিল বাড়িতে। মায়ের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছিল, সেটা দিয়েই ছবি তোলার তার হাতেখড়ি। তারপর কত দিন কেটে গেল। স্কুল শেষ হল, কলেজ পেরুল। ইউনিভার্সিটিও। সুশান্তর আজ তিরিশ। বাসস্ট্যান্ডের গা জুড়ে ইংরেজীর এম-এ সুশান্তর স্বপ্নের দোকান-স্টুডিও নীলিমা। মায়ের নামে পাঁচ বছরের এই দোকান। মা নেই, আছে শুধু ছোট ভাই নান্তু। কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার, বাইরে বাইরেই চাকরি। কিন্তু দাদার এই স্বপ্নকে সম্ভব করে তোলার পিছনে তার অবদান কম নয়। অর্থ তো জুগিয়েছেই, স্বপ্নটাকেও মরতে দেয়নি। স্বপ্ন কি শুধু যে ছবি তোলে তার, নাকি তাদেরও যারা ছবি তোলাতে আসে? স্বপ্নদেখা সুশান্ত আর তার ক্যামেরার দিকে মুখোমুখি হয়ে থাকা মানুষদের সুখ-দুঃখ-স্বপ্ন নিয়ে এই অন্যস্বাদ উপন্যাস।