শিবনাথ বসু একজন রাজনৈতিক কর্মী। একদিন নিজের দলেরই এক কর্মী খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হলেন। বিচারে যাবজ্জীবন সাজা হয়ে গেল তার। দুই ছেলে অনিকেত, কিংশুক আর মেয়ে মণিদীপাকে নিয়ে অথৈ জলে পড়লেন শিবনাথের স্ত্রী সুনন্দা। কিছুকাল পর হঠাৎই সরকার ঘোষণা করল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। তবে কিছু শর্ত মানা চাই। অনিকেত ‘শর্ত ’মিটিয়ে বাবাকে মুক্ত করে আনতে দেখা করে পুরনো নেতাদের সঙ্গে। বাবাকে মুক্ত করতে তাদের একটা ‘চিঠি’ চাই। পুরনো নেতারা ক্ষমতা হারিয়ে ফণা নামিয়েছে, কিন্তু দীর্ঘদিনের দুর্নীতি রয়ে গেছে ভেতরে। তারা অনিকেতকে প্রতারণা করল। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন নৃপেন দত্ত, দল যাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। শুরু হয় কঠিন লড়াই। উঠে আসে নানা প্রশ্ন। একটা সময় মনে হয়, মানুষ শিবনাথ নয়, নেতা-কর্মীদের অপরাধে একটা বিশ্বাস, একটা মতাদর্শ বন্দি হয়েছে যাবজ্জীবন। প্রচেত গুপ্তর‘ যাবজ্জীবন’ উপন্যাসে বেজে ওঠে সময়।