পাণ্ডব গোয়েন্দাদের এই চতুর্দশ অভিযানের কাহিনী একেবারে শুরু থেকেই জমজমাট। লাল রঙের একটা নতুন স্কুটারে চেপে ঝড়ের বেগে বাবলুদের বাগানে হঠাৎই হাজির হল একটি মেয়ে। ডোরা। ডোরা একটি বিশেষ কাজে পাণ্ডব গোয়েন্দাদের সাহায্য চায়। কিন্তু পুরো বৃত্তান্তটা তাদের খুলে বলার সময় পেল না ডোরা। তার আগেই সে নিখোঁজ হয়ে গেল। একেবারে স্কুটারসমেত নিখোঁজ। পরদিন আসব বলে বাবলুদের বাড়ি থেকে বেরুল ডোরা, আর তার আসা হল না; বাড়ি ফেরাও হয়নি। কোথায় নিখোঁজ হল ডোরা! কীভাবে! কী বলতে এসেছিল সে! ফুলের মতো সুন্দর এক কিশোরী। যেটুকু সময় বাবলুর কাছে ছিল, তাই থেকেই বাবলু কিছুটা অবশ্য আঁচ করেছে। ডোরার দুটি উদ্দেশ্য। এক, তার বাবা-মায়ের হত্যাকারীকে খুঁজে বার করে বদলা নেওয়া। দুই, একটি গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছে সে। এই দুটো কাজেই বাবলুদের সহায়তা চায় ডোরা। পাণ্ডব গোয়েন্দাদের এই অভিযানের কাহিনী ক্রমশই নানা ঘাতপ্রতিঘাতে উত্তেজনাময়, চমকপ্রদ ঘটনাপরম্পরায় শ্বাসরুদ্ধকর।