বড়দিনের ছুটিতে বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ির কাছাকাছি একটি নদীর ধারে পিকনিক করতে গিয়েছিল সংযুক্তা—স্কুলে-পড়া এক কিশোরী। সবাই ফিরল, ফিরল না শুধু সংযুক্তা। রহস্যজনকভাবে উধাও। দিন কয় বাদে নদীর জলে ভেসে উঠল তার মৃতদেহ। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে সংযুক্তার মা-বাবা শোকে পাথর। এরপর যা ঘটল তা প্রায় অবিশ্বাস্য। নানা ঠিকানা থেকে সংযুক্তার নিজের হাতে লেখা চিঠি আসতে শুরু করল বাড়িতে। কী করে হয়? তবে কি মরেনি সংযুক্তা? কার মৃতদেহ সৎকার করে এলেন তার মা-বাবা? নিজেদের একমাত্র মেয়েকে চিনতে তাঁদের এত ভুল হবে? পাণ্ডব গোয়েন্দারা এতকাল যত রহস্যভেদই করে থাক—সংযুক্তার এই ‘মৃত্যু’ ও ‘বেঁচে-ওঠা’র ব্যাপারটাই সব থেকে জটিল এক রহস্য, এতে সন্দেহ নেই। জগৎবল্লভপুর থেকে বজবজ, রামটেক থেকে গোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এবারের দুঃসাহসিক অভিযান। অবশেষে কীভাবে খুলল সব রহস্যের জট, তারই দুর্দান্ত কাহিনী ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র এই দশম খণ্ডে।