‘ঐতিহাসিক’ উপাখ্যানের নায়ক দীপ তার প্রেমিকা আলট্রা মডার্ন তিথিকে নিয়ে বেড়াতে যায় চন্দ্রকেতুগড়ে। সেখানে এক নারীর যৌবনের দিনলিপি খুঁজে পায় দীপ৷ বেঁচে থাকলে যার বয়স হত আশি। সেই দিনলিপিতে লেখা আছে নিষ্ফলা যৌবনের এক বেদনাবঞ্চিত জীবনকাহিনী। আবার এই কাহিনীর অনেকটাই মিলে যায় দীপের মৃত সহকর্মী ব্রতর তরুণী বিধবা স্ত্রীর সঙ্গে। তিথি, ব্ৰতর স্ত্রী ও দিনলিপি রচয়িতা—এই তিন নারীর টানাপড়েনে দীপ শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছবে? অতীত, বর্তমান নাকি ভবিষ্যতে?‘জেগে থাকো অংশুমান’ উপন্যাসে একটা ফোন আসে অংশুর কাছে। মাঝবয়সী এই মানুষটি পেশায় অধ্যাপক। সেই ফোনে এক অপরিচিত গলা অংশুকে জানায়, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটে তার নামে একটা গোপন ফাইল এসেছে। এই ফাইলে এমন সব তথ্য আছে যাতে তাঁর বিপদ আসন্ন। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যান অংশু। দিশেহারা অংশুকে পরিত্রাণে আগ্রহ দেখান সেই টেলিফোনের লোকটি। ভদ্রলোক ফোনেই জানান, কিছু টাকা খরচ করলে এ যাত্রা তিনি অংশুকে বাঁচিয়ে দিতে পারেন। রাতের ঘুম ছুটে যায় অংশুর। টাকার সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু যার কাছে হাত পাতেন তারই টাকা দেবার ক্ষমতা নেই। এক আশ্চর্য জগৎ উন্মোচিত হয় অংশুর চোখের সামনে।