জাদুবর্গ একটি বর্গাকার সজ্জা। সজ্জায় সংখ্যাগুলিকে এমনভাবে সাজানো হয় যাতে প্রতি সারিতে, প্রতি স্তম্ভে, কোনাকুনি সংখ্যাগুলির যোগফল একই দাঁড়ায়। এই যোগফলকে বলা হয় জাদুসংখ্যা। সম্ভবত ভারতবর্ষেই জাদুবর্গ নির্মাণের সূত্রপাত। পরে আরব, চিন, জাপান, গ্রিস প্রভৃতি দেশে অঙ্কের এই বুদ্ধিদীপ্ত খেলা ছড়িয়ে পড়ে। সংখ্যা আবিষ্কারের আগে নুড়ি, ফলের বীজ, গোল চিহ্ন, বস্তু— এইসবের দ্বারা গঠন করা হত জাদুবর্গ। বিশ্বেশ্বর পাণিগ্রাহীর ‘জাদুবর্গ’ গ্রন্থে জাদুবর্গের ইতিহাসের পাশাপাশি আলোচিত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের জাদুবর্গের কথা। নিয়ম, কৌশল, পদ্ধতি, সূত্রের উল্লেখ করেছেন তিনি। গঠন ও প্রকৃতি অনুযায়ী তাদের নামকরণ করা হয়েছে— গুচ্ছ জাদুবর্গ, প্রতীক জাদুবর্গ, উত্তম জাদুবর্গ, রূপক জাদুবর্গ, প্রতিকৃত জাদুবর্গ ইত্যাদি। বাংলা প্রকাশনায় বিরল এই গ্রন্থটি গণিতের আকর্ষণ-ক্ষমতায় পরিপূর্ণ। ছাত্র-ছাত্রীরাও বুঝবে, অঙ্ক কোনও প্রাণহীন বিষয় নয়, তারও আছে সৃজনশীল খেলা।