শুধু হাতি নয়, ‘রোগ’ হাতি। অর্থাৎ কিনা, গুণ্ডা হাতি। দলের স্বীকৃত সর্দারের সঙ্গে নতুন সর্দার হতে ইচ্ছুক হাতির দ্বৈরথ হাতির সমাজে প্রচলিত এক ঘটনা। তুমুল যুদ্ধে এক পক্ষের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। সেই পরাজিত হাতিই হয়ে ওঠে ‘রোগ’ হাতি। দলতাড়িত, স্বজনবিচ্ছিন্ন, অপমানিত, ক্ষতবিক্ষত। গুণ্ডা হাতির আক্রমণ বড় মর্মান্তিক। লেশমাত্র মৃত্যুভয় যেহেতু থাকে না তার, কোনওভাবেই নিরস্ত করা যায় না তাকে। নিষ্ঠুর, বেপরোয়া হয়ে ওঠে তার অত্যাচার। সেবার ওড়িশার লবঙ্গি-বনে এমনই এক হাতির উপদ্রব। বেড়াতে গিয়েও তাই জড়িয়ে পড়তে হল ঋজুদা ও রুদ্রকে। ধোপা যেমন পুকুরঘাটে কাপড় কাচে, হিংস্র হাতিটাও নাকি তেমন করে লোকজন-গাইবলদ শুঁড়ে জড়িয়ে তুলছে আর আছড়ে মেরে ফেলছে। লবঙ্গি-বনের সেই অভিজ্ঞতা বড় ভয়ঙ্কর। রুদ্রর জবানিতে সেই অভিজ্ঞতার কথাই অতি রোমাঞ্চ-জাগানো ভঙ্গিতে এই বইতে বর্ণনা করেছেন শিকারগল্পের একচ্ছত্র লেখক বুদ্ধদেব গুহ।