সকল বই

আধখাওয়া দিন

আধখাওয়া দিন

Author: মাইনুল এইচ সিরাজী
Delivery Time: 3-7 Days , Cash on Delivery Available
  • বই উপহারঃ বই উপহারঃ
    বিস্তারিত
  • বই উপহার.. বই উপহার..
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফারঃ কম্বো অফারঃ
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফার.. কম্বো অফার..
    বিস্তারিত
  • ফ্রি ডেলিভারিঃ ফ্রি ডেলিভারিঃ
    বিস্তারিত
Price: ৳200.00 ৳ 168.00 (16.00 % off)
Available Stock
+ Add to Wishlist
Publisher কথা প্রকাশ
ISBN9789845101776
Edition2021 Feb 02
Pages96
Reading Level General Reading
Language Bangla
PrintedBangladesh
Format Hardbound
Category উপন্যাস
Return Policy

7 Days Happy Return

১৯৮০-৯০-এর দশকের গল্প। ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর সামাজিক নিষ্পেষণে জর্জরিত এই পরিবারটির করুণ কাহিনি পড়লে আপনার চোখ ভিজে উঠবে। আনমনে আপনি বলতে থাকবেন-এই গল্প আপনার আশেপাশেরই, কিংবা আপনার নিজেরই! কারণ, গল্পগুলো জীবনের। অথবা হতে পারে জীবনটাই গল্পের। লেখক যখন বলেন-চোখ লুকানোর জন্য আকাশের দিকে তাকালাম একবার। আবার নিচের দিকে। আকাশের দিকে তাকালে শূন্যতা দেখি। নিচের দিকে তাকালে মাটি। পায়ের তলায় মাটি তার অস্তিত্ব জানান দেয়। ছেঁড়া জুতা ভেদ করে পা আর মাটি মিলেমিশে এক হয়ে যায়। কিংবা যখন বলেন-অভাবের মাঝেও কোনো কোনো বেলা আমাদের ভাত জুটত। আম্মা সেদিন সবাইকে একসঙ্গে বসাতেন। টিনের থালা নিয়ে আমরা বসে যেতাম আম্মাকে ঘিরে। নারকেল মালার চামচ দিয়ে মেপে মেপে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের থালায় ভাত বেড়ে দিতেন আম্মা। এ ক্ষেত্রে রীতিমতো গণিতবিদ ছিলেন তিনি। কিন্তু থালার একপাশে পড়ে থাকা ভাতগুলো আমাদের দিকে যেন করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। আমরা সেই সামান্য ভাত তৃপ্তি নিয়ে খেতাম। আম্মা শূন্য হাঁড়িতে মালার চামচের শব্দ করে বলতেন, ভাত আর নিবি? আমরা বলতাম, নাহ্, পেট ভরে গেছে। ক্ষুধা নিয়ে আমাদের এই লুকোচুরি আমরা সবাই বুঝতাম, কিন্তু কেউ কাউকে বোঝাতে চাইতাম না। -তখন জীবন আর গল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

Authors:
মাইনুল এইচ সিরাজী

১৯৮০-৯০-এর দশকের গল্প। ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর সামাজিক নিষ্পেষণে জর্জরিত এই পরিবারটির করুণ কাহিনি পড়লে আপনার চোখ ভিজে উঠবে। আনমনে আপনি বলতে থাকবেন-এই গল্প আপনার আশেপাশেরই, কিংবা আপনার নিজেরই! কারণ, গল্পগুলো জীবনের। অথবা হতে পারে জীবনটাই গল্পের। লেখক যখন বলেন-চোখ লুকানোর জন্য আকাশের দিকে তাকালাম একবার। আবার নিচের দিকে। আকাশের দিকে তাকালে শূন্যতা দেখি। নিচের দিকে তাকালে মাটি। পায়ের তলায় মাটি তার অস্তিত্ব জানান দেয়। ছেঁড়া জুতা ভেদ করে পা আর মাটি মিলেমিশে এক হয়ে যায়। কিংবা যখন বলেন-অভাবের মাঝেও কোনো কোনো বেলা আমাদের ভাত জুটত। আম্মা সেদিন সবাইকে একসঙ্গে বসাতেন। টিনের থালা নিয়ে আমরা বসে যেতাম আম্মাকে ঘিরে। নারকেল মালার চামচ দিয়ে মেপে মেপে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের থালায় ভাত বেড়ে দিতেন আম্মা। এ ক্ষেত্রে রীতিমতো গণিতবিদ ছিলেন তিনি। কিন্তু থালার একপাশে পড়ে থাকা ভাতগুলো আমাদের দিকে যেন করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। আমরা সেই সামান্য ভাত তৃপ্তি নিয়ে খেতাম। আম্মা শূন্য হাঁড়িতে মালার চামচের শব্দ করে বলতেন, ভাত আর নিবি? আমরা বলতাম, নাহ্, পেট ভরে গেছে। ক্ষুধা নিয়ে আমাদের এই লুকোচুরি আমরা সবাই বুঝতাম, কিন্তু কেউ কাউকে বোঝাতে চাইতাম না। -তখন জীবন আর গল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

0 review for আধখাওয়া দিন

Add a review

Your rating