পৃথিবী ছাড়া অপার অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোথাও কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে? বহুকাল ধরে এই জিজ্ঞাসার উত্তর অন্বেষণ করছে পৃথিবীর মানুষ।মহাবিশ্বে প্রাণের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিল ভারতের প্রাচীন উপনিষদ ও গ্রিক দর্শন। উনিশ ও বিশ শতকে গ্রহান্তরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে লেখা হয়েছে নানা স্বাদের চমকপ্রদ কল্পবিজ্ঞান কাহিনি। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, ব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীবাসীর থেকেও বুদ্ধিমান কোনও প্রাণী খুঁজে পাবার সম্ভাবনা কয়েক কোটি গ্রহে। আগামী শতকে কিংবা আরও পরে নিশ্চিতভাবেই তাদের সঙ্গে পৃথিবীর সংযোগ গড়ে উঠবে। প্রমাণিত হবে তাদের অস্তিত্ব।যদিও যোগাযোগ করার অনেক অসুবিধে তবু সৌরজগতে প্রাণের সন্ধান শুরু হয়েছে বহু প্রত্যাশা নিয়ে। যেমন মঙ্গল গ্রহে পাথফাইন্ডার অভিযান এবং নাসা-র সার্চ ফর একস্ট্রা টেরিস্ট্রিয়াল প্রোজেক্ট এই অনুসন্ধান ও গবেষণার প্রথম পর্যায়।নব্বইয়ের দশকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও নাটকীয় অভিযানটির নাম নিঃসন্দেহে পাথফাইন্ডার। এই অভিযানের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে বিজ্ঞানীরা ২০১০ এবং তারও পরবর্তী বছরগুলোতে যেসব অভিযান হবে সেই প্রকল্পও তৈরি করে ফেলেছেন। তার মানে, মহাকাশে এখন দারুণ ব্যস্ততা, একটার পর একটা যুগান্তকারী অভিযানের প্রস্তুতি। এই ভিন্নধর্মী বিজ্ঞানগ্রন্থে আছে প্রাণ-অনুসন্ধানের নানা তথ্যকাহিনির পাশাপাশি কম্পিউটার রোবট ও মনসংক্রান্ত অনেক রোমাঞ্চকর নতুন সংবাদ। সব মিলিয়ে এ বই নতুন ধরনের বিজ্ঞানের বই।