বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বিস্ময়কর প্রতিভা সত্যিই কি পরিপূর্ণতা পায়নি? তিনি কি কিছুটা উপেক্ষিত? কারও কারও ধারণা, আইনস্টাইনের আনুকূল্যেই তিনি কিছুটা খ্যাতি পেয়েছেন মাত্র। ‘বোসন’ কণা আর বসু-আইনস্টাইন ‘সংখ্যায়ন’-এর জন্য ছাত্র-অধ্যাপক-গবেষকদের কাছে তিনি আজও বিশিষ্ট। কিন্তু এতে তাঁর প্রকৃত মূল্যায়ন হয় কি? ২০০১ সালের নোবেল পুরস্কার প্রাপক জার্মান বিজ্ঞানী উলফগ্যাং কেটারলে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রতি ঋণ স্বীকার করে বলেছেন, বসুর নোবেল পাওয়া উচিত ছিল। দেবীপ্রসাদ রায়ের ‘সত্যেন্দ্রনাথ বসু: চেনা বিজ্ঞানী অজানা কথা’ গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে সত্যেন্দ্রনাথের প্রতিভার নানা দিক। নির্লিপ্ত স্বভাবের এই বিজ্ঞানীর বিজ্ঞানসাধনার উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার সঙ্গে আমরা কী পেয়েছি, কী পেতে পারতাম অথচ পেলাম না তাঁর কাছ থেকে, সবটাই সাধারণের গোচরে আনাই লেখকের মূল উদ্দেশ্য। নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও সত্যানুসন্ধানী প্রয়াস।