‘পুঁজি’ হল মার্কসবাদের এক প্রতিভাদীপ্ত রচনা। মার্কস তাঁর জীবনের প্রধান গ্রন্থটি রচনা করেন চার দশক ধরে—৪০-এর দশকের প্রারম্ভ থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। অর্থনৈতিক গঠনকাঠামােই হল মূল ভিত্তি, যার উপরে গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক অতিকাঠামাে,—এ কথা স্বীকার করে ঠিক এই অর্থনৈতিক গঠনকাঠামাে অধ্যয়নের ব্যাপারেই মার্কস সবচেয়ে বেশি নজর দেন,' লিখেছেন ভ, ই, 'লেনিন।
১৮৪৩ সালের শেষভাগে প্যারিসে মার্কস নিয়মিতভাবে অর্থশাস্ত্র অধ্যয়নের কাজ শুরু করেন। অর্থনীতি বিষয়ক সাহিত্য নিয়ে পড়াশােনার সময় তিনি মহা গ্রন্থ রচনা করতে মনস্থ করেন, যার সারমর্ম হবে বর্তমান ব্যবস্থা ও বুর্জোয়া অর্থশাস্ত্রের কঠোর সমালােচনা। এ কার্য সম্পাদনের পথে তার প্রাথমিক গবেষণাকার্যগুলি সুনির্দিষ্টভাবে রূপলাভ করে এইসব রচনায়, যেমন, ১৮৪৪ সালের অর্থনীতি ও দর্শন বিষয়ক পাণ্ডুলিপি', জার্মান ভাবাদর্শ, দর্শনের দৈন্য', মজুরি-শ্রম ও পুঁজি’, কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তাহার’, ইত্যাদি। এই রচনাগুলির মধ্যেই পুঁজিবাদী শােষণের মূলনীতির, পুঁজিপতি এবং মজুরি-শ্রমিকের স্বার্থের মধ্যকার আপসহীন বৈপরীত্যের, পুঁজিবাদের সমস্ত অর্থনৈতিক সম্পর্কের বৈরভাবাপন্ন ও অস্থিতিশীল চরিত্রের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।