অশান্ত ঈগল (মূল: কুতায়বা বিন মুসলিম) তাঁর সে প্রয়াসের স্বর্ণালি স্বাক্ষর। বইটি পাঠে আপনি যে উপলব্ধিতে আসবেন তা হচ্ছে—লেখক কাহিনীর প্লট সাজাতে প্রচুর মেহনত করেছেন এবং এতে তিনি সাফল্যের ছাপ রাখতে পেরেছেন। স্থান কাল পাত্র আর ঘটনাবলির চিত্রায়ণ এতোটাই চিত্মাকর্ষক ও জীবন্ত, মনে হবে আপনি যেন কয়েক শতাব্দি পূর্বের মধ্য এশিয়া অঞ্চলে কুতায়বা বিন মুসলিম আল বাহলির লশকরের সাথে রণাঙ্গনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তাঁর এ বইটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—কাহিনীকে পরিচালিত করেছেন বহমান নদীর শান্ত স্রোতধারার ন্যায়। কোথাও জড়তা বা আড়ষ্টতা কাহিনীর সাবলীল বহমানতায় ব্যাঘাত ঘটায়নি। ফলে কলেবর বড় হলেও পাঠক উত্যক্ত না হয়ে বরং পরবর্তী পৃষ্ঠা অধ্যয়নের জন্য থাকবেন উন্মুখ।
ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্তের একঘেয়েমি এড়াবার জন্য কাহিনীর সাথে এক অগ্নপুজারি ও এক বেদুইন বালার জীবনকাহিনী নিয়ে এসে বইটিকে করে তুলেছেন এক বৈঠকে সমাপ্ত করার মতো আকর্ষক।
নিঃসন্দেহে “কুতায়বা বিন মুসলিম” (অশান্ত ঈগল) আসলাম রাহির অনবদ্য রচনাগুলোর একটি। সর্বমহলে সমাদৃত হবার মতো এ বইটি যদি ঘুমন্ত মুসলিম যুবকদেরকে তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে প্রেরণা যোগায় তাহলে শ্রম সার্থক হয়েছে মনে করবো।