অঢেল বৈভবের কাছে দারিদ্র্যের পরাজয় কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু সেই বিত্ত মানুষ অর্জন করে, উপার্জন করে কীভাবে! আবার বৈভবের আক্রমণে মানুষের বিবেক ও সততা নিহত হয়। কেন? এই উপন্যাসে তারই তীব্র অনুসন্ধান। অনিন্দ্যর চোখের সামনে এখনও মাঝেমধ্যে সেই দুঃখজর্জর, কপর্দকহীন অদূর অতীতের দিনগুলো ঝরাপাতার মতো উড়ে উড়ে আসে। কিন্তু আজ সেই শুকনো পাতা দু’ পায়ে মাড়িয়ে জনৈক গুপ্তাজির সহায়তায় অনিন্দ্য এগিয়ে যাচ্ছে বিত্তবাসনার শিখর থেকে শিখরে। যদিও অর্থ-উপার্জনের যে-উপায় সে অবলম্বন করেছে তা প্রতারণারই নামান্তর। বেকার যুবক-যুবতীদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার শূন্য প্রতিশ্রুতি। নন্দিনী মুখার্জি নামে একটি ‘অভাবী’ মেয়ে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এসে সেই ফাঁদে পা দিল। টাকার বিনিময়ে নন্দিনীর মায়ের কাছ থেকে সোনার গয়না নিতেও অনিন্দ্য দ্বিধা করে না। কিন্তু তারপর? একদিন সেই নন্দিনী, আদতে যে-একজন গোয়েন্দা-পুলিশ, এই চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দুলেন্দ্র ভৌমিক আমাদেরও দাঁড় করিয়ে দেন এক উদ্যত আগ্নেয়াস্ত্রের মুখোমুখি।