মুষলধারার বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য হ্যাট টেনেটুনে ঠিক করলেন ফাদার লুকাস ম্যাকগিল, তুলে দিলেন কোটের কলার। ঝড়ো হাওয়ায় খুলে গেছে তাঁর হেন-হাউসের দরজা, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মুরগিগুলো, ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছে। হাতের লাঠিটা কাজে লাগিয়ে ওগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে জায়গামতো ঢোকানোর চেষ্টা করছেন ফাদার। কোনও মুরগি হারিয়ে গেল কি না জানার জন্য মনে মনে গুনছেন ওগুলো। বিড়বিড় করে বললেন, ‘কী একখানা রাত!
বিদ্যুৎ চমকে উঠল আকাশে। উদ্ভাসিত হলো হেনহাউসের আশপাশের উঠান আর দক্ষিণ-ফ্রান্সের প্রত্যন্ত এক পল্লী। ফাদারের কটেজ-গার্ডেনের নিচু পাথুরে-দেয়ালের পেছনে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে দশম শতাব্দীর নিদর্শন সেইন্ট বারনাবাস চার্চ। সেটার পাশে মামুলি একটা কবরস্থান। ধসে পড়েছে বেশিরভাগ সমাধিফলক, আইভিলতার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে জায়গাটা। আরও একবার চমকে উঠল বিদ্যুৎ, বাজ পড়ল দুরে কোথাও। বৃষ্টির বেগ বেড়েছে। ইতিমধ্যে সবগুলো মুরগি হেন-হাউসে ঢুকিয়ে ফেলেছেন, ফাদার। দরজার হুড়কো তুলে দিয়ে ওটা শক্ত করে আটকে দিলেন তিনি। আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে আসছে মুরগিগুলো।
ঘুরলেন ফাদার, কটেজের দিকে।