সত্যি তো, কী টিফিন দেওয়া যায় বাচ্চাদের? এখনকার সতর্ক, দায়িত্বসচেতন মা মাত্রেই জানেন, এ এক প্রাত্যহিক সমস্যা। আগেকার মতো পয়সা দিয়ে দায়িত্ব এড়ানো শক্ত। অনেক স্কুলেই রাস্তার খাবার বারন। একঘেয়ে টিফিন পাঠালেও নাকি মায়েদের বকে দেন আন্টিরা। ভুল করেন না। বাইরের খাবারে অসুখের ভয়, একঘেয়ে খাবারে অরুচির। সমস্যাটা তাই গভীর হয়ে ওঠে। কী সেই খাবার, যা রুচিকর হয়েও পুষ্টিকর; যাতে বৈচিত্র্য আনা যাবে, আবার সাত-সকালে বানানোও হবে না ঝামেলার? সে রকম খাবার যে কত ধরনের, সে কথাই তাঁর এই দারুণ প্রয়োজনীয় বইতে জানিয়েছেন সাধনা মুখোপাধ্যায়, এ-যুগের গৃহিনীদের যিনি কিনা মুশকিল আসান । আড়াইশোরও বেশী ‘বাচ্চাদের টিফিন’ শিখিয়েছেন তিনি এখানে, যা পুষ্টিকর, মুখরোচক এবং বহুলাংশেই চটজলদি। দিয়েছেন বহু বাস্তবসম্মত পরামর্শ। এইসব টিফিন শুধু বাড়ন্ত বাচ্চার মুখেই যে ফোটাবে পুষ্টি আর তৃপ্তির ছাপ, তা নয়, বড়দের জিভেও আনবে জল।