আড়াই লক্ষ সপুষ্পক উদ্ভিদ প্রজাতি আছে এই পৃথিবীতে। উদ্ভিদ প্রজাতিকে চিহ্নিত করা হয় সুনির্দিষ্ট দেহগত বর্ণনার মাধ্যমে এবং নামকরণ হয় লাতিন ভাষায়। আমাদের দেশে কিন্তু কোনও অঞ্চলের অর্থকরী ও ভেষজ উদ্ভিদগুলিকে সহজে চিনে নেওয়ার সুযোগ নেই। উদ্ভিদের প্রজাতিগত পরিচয় চিহ্নিত না হওয়ায় অগোচরে থেকে যাচ্ছে শতশত অর্থকরী উদ্ভিদ, ভেষজ বীরুৎ। নির্বিচারে উদ্ভিদ ধ্বংস হচ্ছে। উদ্ভিদকুলের সর্বাঙ্গীণ পরিচিতি মানুষের সামনে উপস্থিত না থাকায় উদ্ভিদের গুরুত্বও বুঝছে না সবাই। প্রকাশিত হল সুবিমলচন্দ্র দে-র ‘উদ্ভিদ পরিচয়’। উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস ও নামকরণ, গোত্র পরিচয়, অঙ্গসংস্থান এখানে আলোচিত। বিশেষত গ্রন্থিত হয়েছে ‘গণ পরিচয়— জাতিগত নামের অভিধান’ এবং ‘অভিধান— অর্থসহ প্রজাতিগত নামের বর্ণানুক্রমিক বিন্যাস’ শীর্ষক দু’টি সমৃদ্ধ অধ্যায়। ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক, প্রযুক্তিবিদসহ সমস্ত উদ্ভিদপ্রেমীর কাছেই বইটি গুরুত্বপূর্ণ।