তুর্কি অধ্যাপক দারোন অ্যাসেমোগলু এবং অর্থনীতিবিদ জেমস রবিনসন হওয়াই নেশান্স ফেইল গ্রন্থে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, ওপরের কোনো তত্ত্বই এককভাবে উন্নয়ন বা অবনমনের কারণ হতে পারে না। অ্যাসেমোগলুর মতে, প্রধান যে কারণকে প্রতিটা ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রতিটা রাষ্ট্রের উন্নয়ন বা অবনমনের কারণ হিসেবে দেখানো যেতে পারে, তা হচ্ছে অন্তরভুক্তিমূলক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সক্ষমতায় বা এর অভাবে। অ্যাসেমোগলুর পুরো বইকে, তিনটি শব্দে সামারি করা যায় তা হচ্ছে, ইন্সটিটিউশান, ইনস্টিটিউশন, ইনস্টিটিউশন। তাঁর মতে, যখনই কোন রাষ্ট্রের প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তরভুক্তিমূলক হয় এবং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নাগরিকসংশ্লিষ্টতা থাকে ঠিক তখনই কোনো সমাজ বা রাষ্ট্র দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের ধারায় পা দিতে পারে। কারণ, একমাত্র মেধাভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোই রাজনীতিবিদ বা আমলাদের হাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুণ্ঠন ঠেকাতে পারে। তাঁর মতে, একমাত্র অন্তরভুক্তি প্রতিষ্ঠানই নাগরিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, বিচারব্যবস্থাসহ সবকিছুতেই অধিকার এবং সুসম সুযোগ নিশ্চিত করতে পারে। যার ফলে অসম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুধু কিছু এলিটের হাতে সম্পদ পুঞ্জিভূত হতে পারে না বা নাগরিক অধিকার নির্দিষ্ট কিছু এলিটের ইচ্ছায় কুক্ষিগত হয় না। এতে দীর্ঘ মেয়াদে হলেও অর্থনীতিতে একটা সমতা তৈরি হয় কিংবা মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে।