কালিদাস চক্রবর্তী প্রতিদিন লিখে চলেছেন পরিহাটি গ্রামের ইতিহাস, সে ইতিহাস রাজা-রাজড়ার নয়, অতি সাধারণ মানুষের। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও হোমিওপ্যাথ কালিদাসের ছোট ছেলে পল্টন বাবাকে একাজে সাহায্য করছে। একটি টিউটোরিয়াল হোমের সামান্য অঙ্কের মাস্টার পল্টন। কালিদাসের প্রতিবেশী দুখন, রাজনীতি আর কালো রাস্তায় হেঁটে, প্রচুর পয়সা করেছে। দুখনের বাড়িতে পুরোহিতের কাজও করেন কালিদাস। টাকা তৈরির নেশায় তার স্ত্রী মধুরার সঙ্গে দুখনের দূরত্ব বাড়ে। উপপত্নী রুক্মিণী দাঁড়িয়ে যায় দু’জনের মাঝখানে। এদিকে দুখনের চাকর নবীনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মধুরা। একদিন গর্ভবতীও হয়ে পড়ে। বৃদ্ধ কালিদাসকে সব বলে সে। কালিদাস ছুপা টেররিস্ট নবীনকে চিনতে পারেন। নবীনের আসল পরিচয় জানতে পেরে তাকে হত্যা করতে চায় মধুরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে না। ‘পরিহাটির ইতিহাস’ লিখতে বসে এদেরই কথা লিখছেন কালিদাস। কিন্তু এক বন্য হরিণ হঠাৎ একদিন দেখা দিয়ে কোন ইঙ্গিত রেখে গেল পরিহাটির জীবনে? সুধীরবাবু, রিমা, রঙ্গিলা এবং আরও অনেক অকিঞ্চন চরিত্রের জীবনযাপনের মরমী কাহিনি ‘পরিহাটির হরিণ’।