কাশেম ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য লন্ডনে এসেছিল। কিন্তু পড়া আর হয় না। টাকায়ও কুলায় না। তাই ঢাকায় গিয়ে সাকিনাকে বিয়ে করে আনে। সাকিনা একটা কাজ করবে, সেই টাকায় কাশেম পড়বে। কিন্তু পড়ায় তার মন নেই। এদিকে বন্ধুর স্ত্রী সাকিনাকে ভালোবেসে ফেলে বেলাল। শারীরিক অক্ষমতার ক্রোধে কাশেম সাকিনাকে খাট থেকে ফেলে দেওয়ার পর বেলাল জয় করে সাকিনাকে। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়, ‘সাকিনা তাকে [বেলালকে] নিজের হাতে সুড়ঙ্গের ভেতরে নিয়ে গেল। আর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুচ্চমকের মতো অস্তিত্বের নীলিমা চিরে গড়িয়ে পড়ল শরীরের কষ। তার নিজের কিছু নেবার ছিল না। ছিল শুধু এই লোকটি যে তাকে এমন করে ভালোবাসে সেই তাকে ভালোবাসার অন্তর্গত সবকিছু দেবার ব্যাকুলতা, তার প্রথম অভিজ্ঞতার দিশারি হবার হয়তো উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তাই সাকিনার পক্ষে এখন সম্ভব হলো, নিজেকেই দূর থেকে দেখা। এমন কিছু সে দেখতে পেল না, যা আগে দেখেনি; এমন কিছু ঘটল না, যা আগে ঘটেনি। সাকিনা এখন নির্মমভাবে অনুভব করল, ভালোবাসার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ভালোবাসা এর ঊর্ধ্বেও নয়, নিচেও নয়। ভালোবাসা এর বাইরে এবং বিযুক্ত।’ বিদেশের পটভূমিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম একটি প্রেমের উপন্যাস।