পাশ্চত্যে উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দু‘টি মৌল অঙ্গীকারে ভিত্তিতে কার্যকর রয়েছে। সরকার যে কর্তৃত্ব (Authority) প্রয়োগ করে তা ন্যাসী ক্ষমতা(Trust) বা আমানত। জনগণের পক্ষে এবং জনসমাজ কর্তৃক অনুমোতিদ পন্থায় সরকার এই কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে। সরকার যদি এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় অথবা জন-সামাজ যদি মনে করে সরকার অনুমোদিত পন্থায় সে কর্তৃত্ব করেনি বা প্রয়োগে ব্যর্থ হযেছে তাহলে সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে এবং অন্য রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনে বল প্রয়োগের কোন স্থান নেই। অন্যদিকে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রকৃত শাসন হলো আইনের শাসন, কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের শাসন নয়। এ ক্ষোত্রে আইনের প্রাধান্যই বড় কথা।
আমাদের দেশে এ পর্যায়ে উপনীত হতে হলে এখনো চলতে হবে হাজার যোজন পথ। অতিক্রম করতে হবে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। দেশে গণতন্ত্রের কাঠামো তৈরি হলেও এখনো সেই কাঠামোয় প্রাণের স্পন্দন সূচিত হয়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মহুতি দিলেন, তাদের অধিকাংশেরই স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যথার্থ বাস্তবায়ন। তাদের স্বপ্নকে ধারণ করেই সম্পর্কে আজো লিখে চলেছি। সেই ধারাবাহিকতার একাংশ এই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ। দ্বিতীয় সংস্কারণে বিইটি ছাপার দায়িত্ব নিয়েছে আমার স্নেহাস্পদ মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার। দেশের খ্যাতনামা পাবলিকেশন দি ইউনিভার্সেল একাডেমির প্রকাশক এস.এম. ভূঁইয়া শিহাব, তাদের কে জানাই গভীর ধন্যবাদ।