সাহিত্যে বিংশ শতাব্দীর সর্বশেষ নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী গ্যুন্টার ভিলহেম গ্রাসকে (৭৩) জীবিত জার্মান লেখকদের মাঝে সেরা গণ্য করা হয়। রাজকীয় সুইডিশ একাডেমির নোবেল বিজয়ী জার্মান সাহিত্যের সারিতে তিনি সপ্তম। ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি যখন বেলেনডর্ফ-এর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই নোবেল কমিটি তাঁকে সুসংবাদটি জানায়। হাসিমুখে তিনি বললেন- আমি আনন্দিত। গ্রাসের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে ঢাকার শিল্পী-সাহিত্যিকরা দারুণ খুশি হয়েছিল। ১৯৮৬ সালের ডিসেম্বরে স্ত্রী উটেসহ গ্রাস যখন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সফরে আসেন তখন তারা গ্রাসের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে এসেছিল। কিন্তু গ্যুন্টার গ্রাস ১৯৮৬’তে ঢাকা সফরেই বা এলেন কেন? এটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক প্রশ্ন। এর একটি ব্যাখ্যা হতে পারে এ-ই যে গ্রাস তাঁর শক্তিশালী চশমার ফাঁক দিয়ে ওপার বাংলার ভেতর-বাহির সবটুকুই দেখে ফেলেছিলেন। তাই তিনি ঢাকা এসেছিলেন এপার বাংলায় ম্লান মুখটি আবিষ্কার করতে। এটা ছিল সাত দিনের এক ব্যক্তিগত সফর। কিন্তু গ্রাসকে সাতদিন কীভাবে বেঁধে রাখা যায়! ঢাকায় জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক পিটার জেভিৎস সিদ্ধান্ত নিলেন সফরকালে কবি বেলাল চৌধুরী হবেন গ্রাসের সার্বক্ষনিক সঙ্গী। আর গ্যুন্টার গ্রাসের ঢাকা আবিষ্কারের দৃশ্যগুলো ধারণ করতে বেলাল চৌধুরী সঙ্গে রাখলেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুনকে। বর্তমান গ্রন্থটি এ আবিষ্কারের এক সচিত্র উপাখ্যান।