প্লেন রানওয়েতে, এখনই টেক অফ হবে। সাউন্ড সিস্টেমে ক্যাপ্টেন বলল, কেবিন ক্রু এট ইউর স্টেশান। ফিউ সেকেন্ডের মধ্যেই এরা-ডাইনামিক লিফটের কল্যাণে প্লেন আকাশে উঠে গেল।
অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রফেসর এডউইন ই-মেলে জানিয়েছে সেখানকার এনভরমেন্ট মিনিস্ট্রিতে চয়নের একটা চাকরি হয়েছে, তাকে শিগগিরই জয়েন করতে হবে। মেল এসেছে আরও দশদিন আগে কিন্তু নানা ঝামেলায় মেল চেক করা হয় নি। চয়নের রেসপন্স না পেয়ে শেষে এডউইন ফোন করেছে বাসার নাম্বারে, ভাগ্যিস চয়ন সে সময় বাসায় ছিল। চাকরির খবরটা শুনে চয়ন এক রকম বর্তে গেল। এখানে থাকলে সে পাগল হয়ে যেত, মা-বাবা ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল তাকে নিয়ে। কয়লার ঘাটের সেই দুর্ঘটনা, টিটিপাড়ার বস্তি তার গােটা জীবনটাই বদলে দিয়েছিল। নানা অনিয়মে স্বাস্থ্যটাও খারাপ হয়ে গেছে। প্রতিহিংসার আগুন মানুষের সব সুকুমার বৃত্তিগুলােকে পুড়ে ছারখার করে দেয়। শেষ পর্যন্ত চয়নকে পিস্তল ধরতে হয় নি, আব্বাসের কল্যাণে কয়লার ঘাটের সেই ছেলেগুলাে এসে বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে গেছে। বেকার ছেলেদের দল! কে জানে হয়তাে এর মধ্যে আবার ফিরে গেছে। পুরনাে পেশায়।
সে আর কোনােদিন অধরার সামনে দাঁড়াতে পারবে? ভীষণ কষ্ট পেয়েছে মেয়েটা। না তাকে আবার ফিরে আসতেই হবে বিজয়ীর বেশে বড় কোনাে এচিভমেন্ট নিয়ে। অধরা কি ততদিন তার প্রতীক্ষায় থাকবে? অধরা চয়নের একটা ছবি চেয়েছিল, সেটা তাকে আর দেওয়া হলাে না।