সকল বই

অন্ধকারের কলস ভেঙে

অন্ধকারের কলস ভেঙে

Author: আলম তালুকদার
Delivery Time: 3-7 Days , Cash on Delivery Available
  • বই উপহারঃ বই উপহারঃ
    বিস্তারিত
  • বই উপহার.. বই উপহার..
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফারঃ কম্বো অফারঃ
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফার.. কম্বো অফার..
    বিস্তারিত
  • ফ্রি ডেলিভারিঃ ফ্রি ডেলিভারিঃ
    বিস্তারিত
Price: ৳100.00 ৳ 82.00 (18.00 % off)
Available Stock
+ Add to Wishlist
Publisher আগামী প্রকাশনী
ISBN984 70006 0038 7
Edition2012
Reading Level Age 6-10
Language Bangla
PrintedBangladesh
Dimension5.5×8.5
Category ছড়া
Return Policy

7 Days Happy Return

ছড়া পড়ার পর বোঝা যায় এটা কোন ধরনের ছড়া। ও ছড়া! শিশুতোষ! ননসেন্স রাইসম! না, প্রিয় পাঠক! পাঠ করুন তারপর বলুন। কারণ, ছড়া শব্দটির দুর্ভাগ্য বলুন আর সৌভাগ্য বলুন– যে শোনে সেই মনে করে শিশুতোষ ব্যাপার-স্যাপার। এর অন্যতম কারণ হলো আমাদের অনেকের ছড়া সম্বন্ধে ধারণা পরিষ্কার নয়। ছড়ার শ্রেণিভাগ আছে। যেমন: শিশুতোষ  ছড়া, বুড়োতোষ ছড়া, উদ্ভট ছড়া, ব্যঙ্গাত্মক ছড়া, সমকালীন ছড়া রাজনৈতিক ছড়া, প্রকৃতি বিষয়ক ছড়া, প্রেমের ছড়া, বিষয়ভিত্তিক ছড়া। কাজেই ছড়া নাম শুনেই বলা যাবে না- ও শিশুতোষ ব্যাপার। সাধারণত সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি বিষয় সম্বন্ধে আমাদের পূর্ব ধারণা আগেই মনের মাঝে তৈরি হয়ে থাকে। এটাকে ‘প্যারাডাইম’ বলে। প্যারাডাইম কী? যেমন: কোর্ট, হাসপাতাল, বিবাহ, বিদ্যালয়। এসব শব্দ শোনামাত্রই আমাদের মনের আয়নায় একটা ছবি ভেসে ওঠে। হাসপাতাল মানে ডাক্তার, নার্স রোগী, ঔষুধ ইত্যাদি। কোর্ট মানে বিচারক, উকিল, মক্কেল, টাকা-পয়সা ইত্যাদি, তাই না? তো কবিতা বা গল্প বললে কী শুধু প্রেমের কবিতা গল্প বুঝি?  নাকি যে কোনো বিষয়ের কবিতা গল্প হতে পারে। তো ছড়া শব্দটি শোনামাত্রই আমাদের অনেকের মনের আয়নায় ভেসে ওঠে কী? ছড়া না পড়ে বলা যাবে না এটা কী ধরনের ছড়া। কাজেই এই যে প্যারাডাইম বা পূর্ব ধারণা এটাকে বদলাতে হবে। মন থেকে এটা সরানোর পর খোলামনে বিচারবিশ্লেষণ করা সহজতর হবে। ছড়া  ছন্দোবদ্ধ ব্যাকরণসিদ্ধ অনবদ্য তাল মাত্রা সমৃদ্ধ মনের উজ্জ্বল আকিঞ্চন। একই সাথে ছড়া আন্তর্জাতিক, জীবন্ত ও যৌবন্ত।

Authors:
আলম তালুকদার

৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশ আমার বাংলাদেশ। এই দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে আমার জেলার নাম টাঙ্গাইল। উপজেলার নাম হলো গিয়ে ঘাটাইল। গ্রামের নাম জন্ম থেকেই জেনেছি গালা। এখনো সেই নামটাই চালু আছে। উচ্চ বিদ্যালয়ে দেয়া সাল অনুযায়ী আমার জন্মসাল ১৯৫৬। হিসাব সহজে মিলানোর জন্য জন্মতারিখ ১লা জানুয়ারি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বেঁচে আছি। প্রকাশিত গ্রন্থ ধরেন ১২৫ হয়ে গেছে। আর কত? অনেকে বলেন থামলে ভালো হতো। কী করব? না লিখলে চুলকায়, কষা শরীরে বসাও যায় না। এই কারণে পাঠকদের অত্যাচার করি। বাংলাদেশের পাঠক-পাঠিকা অনেক লেখকদের অত্যাচারই সহ্য করে থাকেন। অন্তত এই বিষয়ে তারা সর্বংসহা। না পড়লে সহ্য করার বিষয়টা তো বিবেচনাতেই আসে না। তবু লিখি। কারণ বদঅভ্যাস। বদঅভ্যাস বাদ দিলেই মনে হয় বরবাদ হয়ে যাব। আমার অনেকগুলো ঐ অভ্যাস আছে। যেমন-ছড়া, কবিতা লেখা, গল্প, নিবন্ধ ও রম্য লেখার স্পর্ধাও দেখিয়ে থাকি। যা পারি না তাই আছে বাকি।
বই অনেক থাকলেও বউ মাত্র একটা। অন্যদিকে আমিও তার একমাত্র স্বামী। অতএব কাটাকাটি। কারো আফসোস নেই। সন্তান মাত্র তিনজন। একজন ‘মা জননী’ অন্যটা ‘খালা’। বাপের লাহান একটা মাত্র পুত্র। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা আমি কিন্তু নানাও হয়েছি। শুধু কি তাই আমার গিন্নিও নানি হয়েছে। হ্যা-হ্যা-হ্যা।
আমি সিতিলের নানা আর গিন্নি নানি। আর কেন টানি? টানাটানি, জানাজানি, কানাকানি নানানানির নানা কাহিনি। পাঠক-পাঠিকা বলেন, আমরা সব নতি চাহিনি।
শেষ কথা-তবে আমি “শব্দ ছাড়া হয় না কিছু শব্দ হলো গুণ
শব্দ জাগায় ভালোবাসা শব্দে করে খুন।”

0 review for অন্ধকারের কলস ভেঙে

Add a review

Your rating