রাধানগর নামের এই বাড়িটিতে রায় পরিবারের সময় কাটে বারো মাসের তেরো পার্বণে আর গৃহদেবতা রাধামাধবের সেবায়। এর একেবারে বিপরীত মেরুতে কলকাতার অ্যাংলো পাড়ায় থাকেন জমিদার বিনয়কৃষ্ণ চৌধুরীর বিধবা স্ত্রী আইলিন ওরফে এলা এবং তাঁর দৌহিত্রী মন্দাকিনী রায়। এদিকে রাসপূর্ণিমার রাতে কীর্তন গান উদাসী করে তোলে রায়বাড়ির সেজকর্তা রাজেন্দ্রনারায়ণের একমাত্র ছেলে মন্দারকে। তার মা নেই। বাবা থেকেও নেই। স্কুলপর্ব শেষ হতেই মন্দার মায়ের খোঁজে চলে আসে কলকাতায়। এই জনারণ্যে, নানা ঘটনার ঘাতপ্রতিঘাতে সে আবিষ্কার করে তার বোন মন্দাকিনীকে। কিন্তু বাস্তবে তারা সহোদর নয়, তবে সহবীর্য। যে-মন্দার শৈশবে নিজেকে শিকড়হীন ভেবে এসেছে, সেই মন্দারই দিদিমা এলার কাছে এসে খুঁজে পায় পায়ের তলার মাটি। মন্দার একসময় আবিষ্কার করে, দেবত্র পারিবারিক সম্পর্ককে সে একদিন অস্বীকার করতে চেয়েছে, কিন্তু তার নিজের অস্তিত্বই যেন তার কাছে দেবত্র হয়ে উঠছে।