এই উপন্যাস লোকপুরাণের এক বাইজিকে নিয়ে, যার নাম গুলনাহার। অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, ইংরেজরা যখন ভারতবর্ষ দখল করে, এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কালে তাকে বিক্রি করে দিয়েছিল তার মা। তার ঠাঁই হয়েছিল জাজিনগরের রাজধানী উদয়াচলের এক বাইজিকোঠায়। রূপ, যৌবন, নৃত্য ও গীতে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল তার খ্যাতি। তার জলসায় আসতেন মহারাজ, মন্ত্রীবর্গ, জমিদার ও বণিকরা। একদিন যুবরাজ কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়ে আত্মসম্মানটুকু নিয়ে উদয়াচল ত্যাগ করে সে পাড়ি দেয় অজানার উদ্দেশে। তাকে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখান পণ্ডিত অজয় কুমার। তার সহযোগিতায় সে চলে আসে জন্মভূমি হরিদশ্ব গ্রামে। ততদিনে তার পৈতৃকবাড়ি হয়ে গেছে বেদখল। চিরতরে বাইজিবৃত্তি ছেড়ে সে শুরু করে নতুন জীবন। গ্রামের কেউ জানত না তার অতীতকথা। পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে সে নির্মাণ করেছিল একটি মসজিদ। কিন্তু একদিন প্রকাশ হয়ে পড়ল তার প্রকৃত পরিচয়। সমাজ দাঁড়িয়ে গেল তার বিরুদ্ধে, অস্বীকৃতি জানাল তার নির্মিত মসজিদে নামাজ পড়তে। ইতিহাস, লোকপুরাণ ও কল্পনার মিশেলে রচিত এই উপন্যাস এক যুগ ধরে পঠিত হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হতে থাকবে।