শতাব্দীর পর শতাব্দী যে গণহত্যা চলেছে তার মধ্যে বাংলাদেশের গণহত্যার পরিধি ও মাত্রিকতা নজিরবিহীন, এত হত্যাকান্ড যা ভাষায় রূপ দেয়া যাবে না। কেমন করে, কে লিখবে, সেই নিৰ্মম ট্র্যাজিক-কাহিনী! বাংলাদেশে গণহত্যার লক্ষ-কোটি ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তা না হলে গণহত্যার নৃশংস অধ্যায় অন্ধকারে থেকে যাবে। এই বিশাল বেদনার ইতিহাস কী করে লেখা যাবে? কেমন করে লিখবে? ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকবে? এই ব্যর্থতা আমরা কী মেনে নেবা? যেখানে পাকিস্তান রাষ্ট্র আজ বলতে চাইছে, বাংলাদেশে কোনা গণহত্যা তারা করেনি। তারপরও কি আমরা নিশ্চুপ থাকবো?
বইটির অপর্যাপ্ত দিক হলো বাংলাদেশের নরঘাতকদের কথা এখানে সচেতনভাবেই বাদ রেখেছি। গণহত্যাজনিত যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। ট্রাইব্যুনাল আরো বাড়াতে হবে। নইলে বিচারের কাজ অসমাপ্ত থাকবে। গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ কোনোদিন তামাদি হয়না। হবেও না। বিচারের আওতায় তাদের আনতে হবে। দেশের স্বার্থে। জাতির স্বার্থে। মানব-মুক্তির কল্যাণে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই গণহত্যা ৭১ রচিত-গ্রথিত