তুয়া, টিন-এজ এক কিশোরী, মাত্রই যার শরীরটি বিকশিত হতে শুরু করেছে, ‘পাপড়ির আবডাল’ থেকে ঘুম ভেঙে বেরিয়ে আসছে মন, উদ্ভট রোমান্টিক ভাবনাগুলো ভুতুড়ে শিহরনে কাঁপুনি তুলছে-সেই আলুঝালু সময়ে জিশান নামের এক খাপছাড়া তরুণ তুয়ার হোমওয়ার্কের খাতার ভেতর ঢুকে পড়ে। জিশানই হয়ে ওঠে তুয়ার ‘লেখাপড়া’। অদ্ভুত এক স্বপ্নের ঘোরে তার মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। অভিভাবকের শাসনের কঠিন শেকলে বাঁধা পড়ে সে। প্রচণ্ড রগচটা পিতা তুয়ার কাছে হয়ে ওঠে এক ত্রাস। আবার জিশানও এক দুর্নিবার আকর্ষণের নাম। একটি মোবাইল ফোনের জন্য পাগল হয়ে ওঠে তুয়া। বান্ধবীর সহায়তায় সে ভার্চুয়াল জগতের পাঠ নিতে থাকে। ছোট এ উপন্যাসে লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বর্তমান সময়ের সমাজ-মানস চিত্রিত করার পাশাপাশি একজন মনস্তত্ত্ববিদের মতোই বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরীর মনোবীক্ষণ করেছেন। কাহিনির পাশাপাশি বয়ে চলে শ্রেয়োচেতনার অন্তঃস্রোতা নদী। আর নদীর মতোই প্রবহমান নিরাভরণ টানা গদ্যে লেখক এঁকে গেছেন কাকজোছনায় ভেজা এক চরাচরের ছবি।