সবকিছু মিলিয়েই জীবন। তাই সমস্যা শরীরের হােক বা মনের, যৌন জীবনের জট হােক বা অর্থনৈতিক জটিলতা, পণ্যের আসক্তি হােক বা প্রবৃত্তির দাসত্ব, ব্যক্তির অসততা হােক বা সামাজিক অবিচার, পার্থিব সুখ হােক অথবা পরকালীন পরিত্রাণ, সব একই সূত্রে গাঁথা। একটাকে আরেকটা থেকে আলাদা করা যায় না। কোরআন এই চিরায়ত সত্যকেই প্রকাশ করেছে সুস্পষ্টভাবে। | ‘পড়াে! তােমার সৃষ্টিকর্তা প্রভুর নামে। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। নিষিক্ত ডিম্ব থেকে। পড়াে! তােমার প্রতিপালক মহান দয়ালু। তিনি মানুষকে জ্ঞান দিয়েছেন কলমের। আর মানুষকে শিখিয়েছেন যা সে জানত না।' সূরা আলাক-এর এই পঙক্তিমালা দিয়েই কোরআন নাজিলের সূচনা। কোরআন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে পড়তে ও জানতে। কোরআন অজ্ঞতাকে অভিহিত করেছে মহাপাপ রূপে। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। জ্ঞানের পথে, মুক্তবুদ্ধির পথে। এমনকি বিশ্বাসের স্তরে পৌছার জন্যেও মানুষের সহজাত বিচারবুদ্ধির প্রয়ােগকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কোরআন। বৈষয়িক ও আত্মিক জীবনকেও একই সূত্রে গেঁথেছে কোরআন। সুস্পষ্টভাবেই বলেছে, আল্লাহর বিধান অনুসরণ করাে। দুনিয়া ও আখেরাতে তুমি সম্মানিত হবে।