অনেকগুলো অংশ মিলে একটা গোটা মানুষ। গভীর ভালবাসাতেও ওই একটা অংশই পাওয়া যায়। অথচ সকলেই চায় পুরো মানুষটাকে অধিকার করতে। পারে না বলেই সমস্যা। এই সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে মরমী আলো ফেলেছেন উপন্যাস-শিল্পী রমাপদ চৌধুরী। কত কী রঙিন স্বপ্ন দেখেছিল মনীষা। কিন্তু সুরঞ্জনের সঙ্গে বিয়েটা যে শেষ অবধি এত সহজে ভেঙে যাবে কল্পনাও করেনি। ডিভোর্সের পরে মানুষটার সঙ্গে কোনওদিন আর দেখা হবে না, এমন একটা ধারণাও ছিল মনীষার। কিন্তু ছেলে সায়নকে পিতৃত্বের অধিকারে দেখতে এসেছে সুরঞ্জন। মনীষা ওর অবজ্ঞা, ঘৃণায় তা ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। বাবা হিমাংশুশেখর বলেছিলেন, আর তোর কোনও পিছুটান রইল না। সত্যিই কি তাই? সমস্ত অতীত কি পিছু ধাওয়া করে না? একাকিত্ব কাটাতে অভিষেকের সঙ্গে মনীষা গড়ে তুলেছিল আর এক সম্পর্ক। এই সম্পর্ক জিনিসটা অদ্ভুত। এক একজনের সম্পর্ক মানে একজন মানুষের অনেকগুলো অংশ। প্রত্যেকটি অংশের এক একরকম চাহিদা। সেই চাহিদা মেটাতে গিয়েই কি ভুল করে বসবে মনীষা? এ উপন্যাসে তারই নিবিড় অন্বেষণ।